RAY BRADBURY
THE MARTIAN CHRONICLES | FAHRENHEIT 451 | THE ILLUSTRATED MAN
TRANSLATED BY
YASHODHARA RAY CHAUDHURY | DEBJYOTI BHATTACHARYA | SUMIT BARDHAN
PUBLISHER: KALPABISWA PUBLICATIONS
COVER DESIGN: SUBINOY DAS
THE MARTIAN CHRONICLES | FAHRENHEIT 451 | THE ILLUSTRATED MAN
TRANSLATED BY
YASHODHARA RAY CHAUDHURY | DEBJYOTI BHATTACHARYA | SUMIT BARDHAN
PUBLISHER: KALPABISWA PUBLICATIONS
COVER DESIGN: SUBINOY DAS
তারপর একটা উষ্ণতার দীর্ঘ ঢেউ ছোট্ট শহরটার ওপর দিয়ে বয়ে গেল। বন্যার মত। গরম হাওয়ার সমুদ্র যেন। যেন কেউ একটা পাঁউরুটির কারখানার দরজা খুলে রেখে দিয়েছে মনে হচ্ছিল। কোঠাবাড়িগুলোর ফাঁকফোকর দিয়ে, গাছপালার মধ্যে দিয়ে, ছেলেমেয়েদের মধ্যে দিয়ে উষ্ণতাটা ছড়িয়ে যেতে লাগল। তুষারঝালরগুলো টুপটাপ খসে পড়ছিল... মাটিতে পড়ে গলে যাচ্ছিল। দরজাগুলো খুলে যাচ্ছিল। জানালার খড়খড়িগুলো উন্মুক্ত হয়ে যাচ্ছিল। বাচ্চারা উলের জামার ভেতর থেকে হাঁচোর পাঁচোর করে বেরিয়ে আসছিল। গিন্নিরা ভাল্লুকবেশ ছেড়ে দিচ্ছিল। তুষার গলে গেল, গত গ্রীষ্মের প্রাচীন সবুজ ঘাস বেরিয়ে পড়ল। রকেট গ্রীষ্ম! শব্দটা লোকজনের মধ্যে ফিসফিসিয়ে ঘুরে বেড়াতে লাগল। সবাই খোলা জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। ঘরদোরে হাওয়া লাগাচ্ছে। রকেট গ্রীষ্ম। উষ্ণ মরুভূমির হাওয়া জানালায় হিমের তৈরি করা আল্পনা মুছে দিচ্ছিল। স্কি আর স্লেজগুলো হঠাৎ অপ্রয়োজনীয় বোধ হতে লাগল। ঠান্ডা আকাশ থেকে , শহরের ওপর নেমে আসা তুষার, নামতে নামতেই, মাটি ছোঁবার আগেই , উষ্ণ বৃষ্টিতে পরিণত হল। রকেট গ্রীষ্ম। মানুষ তাদের ভিজে সপসপে বারান্দা থেকে ঝুঁকে দেখছিল লালচে হয়ে আসা আকাশ। রকেট লঞ্চিং -এর জমিতে দাঁড়িয়ে, ফোঁসফোঁস করে গোলাপি আগুনের মেঘ ছাড়ছে, সঙ্গে তন্দুরের উষ্ণতা। শীতের ঠান্ডা সকালে রকেট দাঁড়িয়ে আছে , আর গ্রীষ্ম বানিয়ে তুলছে প্রতি নিঃশাসের সঙ্গে। বিশাল বিশাল ধোঁয়া বেরুনোর ফুটো দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ছে সে।
পোড়াতে বড়ো সুখ । ওরা আগুনের খাদ্য হয়ে যায়... দেখতে দেখতে পুড়ে কালো হয়ে উঠে বদলে যায়... কী যে তীব্র সুখ থাকে সেই ছবিতে.....
পাইপের পেতলের মুখটা নিশানা করে দুহাতে ধরা.... অতিকায় অজগর তার কেরোসিনের বিষ ছিটিয়ে দেয় শিকারের গায়ে... অগ্নিপুরুষের মাথার শিরায় রক্তের দপদপে স্রোত ছোটে... হাতদুটো যেন কোনো দক্ষ সঙ্গীত পরিচালকের হাত! এইবার তাদের ইশারায় বেজে উঠবে বহ্ন্যুৎসবের অনন্য সিম্ফনি... ইতিহাসের ছেঁড়াখোঁড়া টুকরোগুলো পুড়ে ছাই হয়ে ছড়িয়ে যাবে পৃথিবীর বুকে.....
তার মাথায় প্রতিকি ৪৫১ নম্বর আঁকা হেলমেট। আসন্ন বহ্ন্যুৎসবের চিন্তায় চোখদুটিতে তার কমলা অগ্নিশিখার আভাস। এইবার ভাবলেশহীন মুখে ইগনাইটারের সুইচটা টিপে ধরল সে। সঙ্গে সঙ্গে দাউ দাউ করে উজ্জ্বল শিখায় জ্বলে উঠল বাড়িটা। সন্ধের আকাশটাকে লাল, হলদে আর কালো রঙে ঝলসে দিল সেই আগুন।
একঝাঁক জোনাকির মত উড়তে থাকা অগ্নিস্ফুলিঙ্গ মেখে সে হেঁটে যায়। বাড়িটার বারান্দায়, উঠোনে ডানা ঝাপটানো পায়রার মত বইগুলো মরছে সেদিকে দেখতে দেখতে, সেই পুরোনো রসিকতাটার মতই তার খুব ইচ্ছে হয়- জ্বলন্ত ওই অগ্নিকুণ্ডে কাঠির আগায় করে একখানা মার্শম্যালো গুঁজে দিলে কেমন হয়!
আগুনের ঝাঁজে কালো হয়ে ওঠা বাতাস বেয়ে ভেসে যায়, উড়ে যায় ফুলকি ছড়ানো জ্বলন্ত বইয়ের পাতার দল .....
পায়ে হেঁটে মার্কিন প্রদেশ ঘুরতে বেড়ানো এক পর্য্যটকের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় এক অদ্ভূত মানুষের । সারা শরীর তার চিত্রবিচিত্র করা রঙীন উল্কিতে, যেন ছাপাই কলে ফেলে চিত্রিত করা হয়েছে তাকে । সূর্য ডোবার পর, চাঁদের আলো মাখা ঝকঝকে গমের ক্ষেত আর ঘাসের মাঠের প্রেক্ষাপটে, ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকের আবহসঙ্গীতে , যেন প্রাণ পায় ছবিগুলো,। এক একটা ছবি শোনাতে থাকে এক একটা গল্প, এক এক করে গড়ে ওঠে গল্পের বর্ণময় এক স্তবক।
AT OXFORD BOOK SHOP, KOLKATA
T H A N K S F O R Y O U R T I M E.
for commissioned project, mail.subinoy@gmail.com | 9873646321
for commissioned project, mail.subinoy@gmail.com | 9873646321